মহাজাগতিক কিউরেটর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মহাজাগতিক কিউরেটর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : মহাজাগতিক কাউন্সিল কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে দুজন কিউরেটর বিশ্বব্রহ্মা- ঘুরে পৃথিবীতে এসেছিল। সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল তাদের উপর। তাদের বিবেচনায় এক সময় হরিণ প্রাণীটি আসে। কিন্তু হরিণ হলো তৃণভোজী প্রাণী। বেশির ভাগ সময় এটি ঘাস, লতাপাতা খেয়ে কাটায়। তা ছাড়া নমুনা হিসেবে যদি হরিণকে সঙ্গে নেওয়া হয় তবে তার দীর্ঘ সময় খাওয়া দাওয়ার জন্য তাকে সংরক্ষণ করা কঠিন হবে কিউরেটরদ্বয় মনে করে।

মহাজাগতিক কিউরেটর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

. এখানে প্রাণের বিকাশ হয়েছে।-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : পৃথিবী নামক গ্রহে প্রাণের বিকাশ সম্পর্কেই ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। দুজন মহাজাগতিক কিউরেটর সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ অর্থাৎ পৃথিবীকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল। দেখতে দেখতে প্রথম প্রাণীটি হঠাৎ করেই বলে উঠল, এখানে প্রাণের বিকাশ রয়েছে।

. সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে জটিল প্রাণিটির একই রকম গঠন-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে জটিল প্রাণীটির একই রকম গঠন’-উক্তিটি দ্বারা সব প্রাণীর মূল গঠন ডিএনএ দ্বারা গঠিত-এটাই বোঝানো হয়েছে। পৃথিবীর সব প্রাণি একইভাবে তৈরি হয়েছে। সব প্রাণীর ডিএনএ একই রকম। সবগুলো একই বেস পেয়ার দিয়ে তৈরি। প্রাণিগুলোর নীলনকশা এই ডিএনএ দিয়ে তৈরি করে রাখা হয়েছে। কারো এই নীলনকশা সহজ, কারো জটিল এটুকুই হচ্ছে পার্থক্য।

. ব্যাকটেরিয়াকে নমুনা প্রাণী হিসেবে কেন পছন্দ হয়নি কিউরেটরদের?
উত্তর : মাত্রাতিরিক্ত ছোটো বিধায় কিউরেটরদের ব্যাকটেরিয়াকে নমুনা প্রাণী হিসেবে পছন্দ হয়নি। মহাজাগতিক কাউন্সিল কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে দুজন কিউরেটর বিশ্বব্রহ্মা- ঘুরে পৃথিবীতে এসেছিল। সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী ব্যাকটেরিয়া আসে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত ছোটো আণুবীক্ষণিক প্রাণী। এদের খালি চোখে দেখা যায় না। সর্বোপরি এদের মধ্যে কোনো বৈচিত্র্যময়তা নেই। তাই কিউরেটররা ব্যাকটেরিয়াকে নমুনা প্রাণী হিসেবে পছন্দ করেনি।

. প্রাণিজগতে সরীসৃপ একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী।- উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘প্রাণিজগতে সরীসৃপ একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী।’- উক্তিটি দ্বারা সরীসৃপদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত নয়- কথাই বলা হয়েছে। সরীসৃপ প্রাণী সাধারণত শীতল রক্তবিশিষ্ট হয়। ঠাণ্ডার মাঝে এরা কেমন যেন স্থবির হয়ে পড়ে। তা ছাড়া সরীসৃপদের মধ্যে কোনো কোনো প্রজাতি যেমন সাপ বেশ কৌতূহলোদ্দীপক হয়ে থাকে। সবকিছু চিন্তা করেই কিউরেটরদ্বয় বলেছিল প্রাণিজগতে সরীসৃপ একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী।

. এদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আমি খুব নিশ্চিন্ত নই-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : “এদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আমি খুব নিশ্চিন্ত নই’-উক্তিটি দ্বারা পাখির বুদ্ধিমত্তা যে কম তা বোঝানো হয়েছে।
মহাজাগতিক কাউন্সিল কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে দুজন কিউরেটর বিশ্বব্রহ্মা- ঘুরে পৃথিবীতে এসেছিল। সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল তাদের উপর। তাদের বিবেচনায় এক সময় পাখি আসে। কিন্তু পাখি আকাশে উড়তে পারলেও এদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে কিউরেটরদ্বয় নিশ্চিন্ত নয়। তাই তারা পাখিকে সঙ্গে নিতে রাজি হলো না।

. এদের দীর্ঘ সময় খেতে হয়-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘এদের দীর্ঘ সময় খেতে হয়’-উক্তিটি দ্বারা তৃণভোজী প্রাণী হরিণকে বোঝানো হয়েছে। মহাজাগতিক কাউন্সিল কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে দুজন কিউরেটর বিশ্বব্রহ্মা- ঘুরে পৃথিবীতে এসেছিল। সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল তাদের উপর। তাদের বিবেচনায় এক সময় হরিণ প্রাণীটি আসে। কিন্তু হরিণ হলো তৃণভোজী প্রাণী। বেশির ভাগ সময় এটি ঘাস, লতাপাতা খেয়ে কাটায়। তা ছাড়া নমুনা হিসেবে যদি হরিণকে সঙ্গে নেওয়া হয় তবে তার দীর্ঘ সময় খাওয়া দাওয়ার জন্য তাকে সংরক্ষণ করা কঠিন হবে কিউরেটরদ্বয় মনে করে।

. তুমি কি সত্যিই বিশ্বাস করো মানুষ এই গ্রহের শ্রেষ্ঠ প্রাণী?-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘তুমি কি সত্যিই বিশ্বাস করো মানুষ এই গ্রহের শ্রেষ্ঠ প্রাণী?’-উক্তিটি দ্বারা মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার জন্য দুজন কিউরেটরের মধ্যে তর্ক চলছিল তা বোঝানো হয়েছে। মানুষকে উচ্চশ্রেণির বুদ্ধিমান প্রাণী বলা হয়। কিন্তু তারপরও তারা তাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য পরিবেশকে দূষিত করছে, গাছপালা কেটে উজাড় করছে বনভূমি। দুই বিলিয়ন বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেই তারা পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারপরও তারা কেমন করে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে। এই নিয়েই দুজন কিউরেটরের মধ্যে দ্বন্দ¡ চলছিল।

. মহাজাগিতক কিউরেটরদ্বয়ের মানুষ বাদ দিয়ে নমুনা হিসেবে পিঁপড়া সংগ্রহের কারণ কী?
উত্তর : মহাজাগতিক কিউরেটরদ্বয় মানুষ বাদ দিয়ে শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান প্রাণির নমুনা হিসেবে পিঁপড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কেননা পিঁপড়া পৃথিবীর কারো কোনো ক্ষতি করে না। পৃথিবীতে বুদ্ধিমান প্রাণি হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে মানুষ। এদের সামাজিক ব্যবস্থা আছে, শহর-বন্দর নগর তৈরি করেছে, চাষাবাদ পশুপালন করছে।

কিন্তু এরা বাতাসের ওজোন স্তর দূষিত করেছে, গাছপালা কেটে সাবাড় করে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করেছে। নিউক্লিয়ার বোমা ফেলছে একে অন্যের ওপর। কিন্তু পিঁপড়া পরিশ্রমী, সুশৃঙ্খলা, সামাজিক সুবিবেচক পরোপকারী। পিঁপড়া পৃথিবীর কোনো ক্ষতি করে না। তাই কিউরেটরদ্বয় মানুষের পরিবর্তে পিঁপড়ার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

. দেখেছ বাতাসে কত দূষিত পদার্থ?- এর কারণ দর্শাও।
উত্তর : ‘দেখেছ বাতাসে কত দূষিত পদার্থ?- কিউরেটরদের একজন পৃথিবীর বাতাসের দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে, কেননা তা ভয়াবহ রকমের ক্ষতিকর। বাতাস শুধু ধূলাবালি ধোঁয়ায় দূষিত নয়। এর সাথে মিশে আছে এমন তেজস্ক্রিয় পদার্থ, যা থেকে এমন রশ্মির বিকিরণ ঘটে, যা অস্বচ্ছ পদার্থের মধ্য দিয়ে দেখা যায়। এসব দূষিত তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাসের ওজোন স্তর ক্রমশ শেষ করে দিচ্ছে।

অথচ ওজোন স্তর হলো বায়ুম-লের উপরিভাগে গ্যাসে পূর্ণ একটি বিশেষ স্তর, যা আমাদের সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। নির্মমভাবে বিস্তীর্ণ এলাকার গাছ কেটে ধ্বংস করার ফলে বাতাস ক্রমশ উষ্ণ দূষিত হয়েছে। দূষণ ওজোন স্তরের ক্ষতির জন্য মানুষই সম্পূর্ণভাবে দায়ী।

১০. মানুষ যুদ্ধ করে একজন আরেকজনকে ধ্বংস করছে কেন?
উত্তর : ‘মানুষ যুদ্ধ করে একজন আরেকজনকে ধ্বংস করছে’ – কথাটা সঠিক। কারণ মানুষ নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। অস্ত্র উৎপাদনকারী যুদ্ধবাজ মানুষ অস্ত্র বিক্রির তাগিদেই এক দেশের সাথে অন্য দেশের যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়। তা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করে। এরা অর্থ খরচ করে নিজেদের লোককেই কোনো দেশের শীর্ষপদে বসায় যাতে তাদের স্বার্থে কাজ করে।

আবার মাফিয়া চক্র পৃথিবীর মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে রাখার জন্য প্রয়োজনে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সাথে হাত মেলায়। তারপর সন্ত্রাসী চক্রের মদদে দেশে দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অস্ত্র মাদক বিক্রির সুযোগ করে নেয়। এভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। যুদ্ধ করে একজন আরেকজনকে, এক দেশ আরেক দেশকে ধ্বংস করে দেয়। ধ্বংস হয় সম্পদ, ধ্বংস হয় স্থাপনা, ধ্বংস হয় প্রাকৃতিক পরিবেশ। যুদ্ধের কারণে পৃথিবীও ধ্বংসের দিকে ক্রমশ এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমা নাগাসাকি শহরের ওপর নিউক্লিয়ার বোমা ফেলে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মৃত্যুবরণ করেছিল পঁচাত্তর হাজার মানুষ। তারই ৫৯তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। এখনও ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনের উপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে, তারা স্কুল এবং হাসপাতালও বাদ দিচ্ছে না। অন্যদিকে উত্তর ইরাকে আমেরিকান সেনাবাহিনীর বোমা বর্ষণে নিহত হয়েছে অনেক শিশু নারী।

১১. কাজটি আরও কঠিন হয়ে গেল- কেন?
উত্তর : ‘কাজটি আরও কঠিন হয়ে গেল’- কথাটা যথার্থ। কেননা সব প্রাণির গঠন একই রকম হলেও তার ভেতর থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ বেছে বের করে নেওয়া সত্যিই কঠিন। অনন্ত মহাজগৎ থেকে আগত মহাজাগতিক কাউন্সিলের দুজন কিউরেটর সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে এসেছে। তারা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র ঘুরে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণিগুলোকে সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে তাদের গ্রহে। পৃথিবীতে নানা প্রজাতির প্রাণির ভেতর থেকে যাচাই-বাছাই করে তারা শ্রেষ্ঠ প্রাণিটিকেই নিয়ে যাবে।

তবে সমস্যা হলো, পৃথিবীর সব প্রাণির মূল গঠনটি ডিএনএ দিয়ে আর সব প্রাণির ডিএনএ একই রকম, সব একই বেস পেয়ার দিয়ে তৈরি। সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে জটিল প্রাণির গঠন একই রকম। প্রাণির বিকাশের নীলনকশা এই ডিএনএ দিয়ে তৈরি করে রাখা আছে। কোনো প্রাণির নীলনকশা সহজ, কোনোটির জটিল -এটুকুই পার্থক্য। কারণে এই গ্রহ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণি খুঁজে বের করা বেশ কঠিনই হবে।

১২. দ্বিতীয় কিউরেটর কুকুর নিতে চাইল কেন?
উত্তর : দ্বিতীয় কিউরেটরের কুকুর খুব পছন্দ হয়েছে, তাই সে কুকুর নিতে চাইলো। কেননা কুকুর খুব প্রভুভক্ত একসাথে থাকতে পছন্দ করে। মহাজাগতিক কিউরেটরদ্বয় পৃথিবীতে এসেছে পৃথিবীর অসংখ্য প্রজাতির ভেতর থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণি খুঁজে বের করে নিয়ে যাবে তাদের গ্রহে। এমন প্রাণি তারা সংগ্রহ করবে যারা সামাজিক দলবদ্ধ থাকে, পরিশ্রমী, সুশৃঙ্খল সুবিবেচক। যেসব প্রাণি পৃথিবী প্রকৃতির কোনো ক্ষতি করে না এবং নিজেদের মধ্যে কোনো ঝগড়া বিবাদও করে না।

ভবিষ্যতে যাতে নিজেদের কোনো অসুবিধা বা সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য তারা খাদ্য আশ্রয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে দায়িত্ব পালন করে। কুকুর একসাথে থাকে এবং দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। তা ছাড়া তারা সহজেই পোষ মানে এবং খুব প্রভুভক্ত হয়।

১৩. প্রাণিদের একটির ভিতরে আবার অত্যন্ত নিম্নশ্রেণির বুদ্ধির বিকাশ হয়েছে-কথাটা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : উষ্ণ রক্তের স্তন্যপায়ী প্রাণিদের একটির ভিতরে আবার অত্যন্ত নিম্নশ্রেণির বুদ্ধির বিকাশ হয়েছে’- কথাটার মধ্য দিয়ে মানুষকেই নিম্নশ্রেণির বুদ্ধিমান প্রাণি বলা হয়েছে। বুদ্ধিমান প্রাণি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হয়। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তারা ইতিবাচক কাজে লিপ্ত হয়। তা ছাড়া তারা নিজেদের কোনো ক্ষতি হবে এরকম কোনো কাজ করে না। মানুষ বড় বড় শহর, নগর, বন্দর নির্মাণ করেছে, নিজেদের সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য কত বড় আত্মত্যাগ করেছে।

চাষাবাদ, পশুপালন করছে। নিজেদের সামাজিক জীবনও অতিবাহিত করছে। এগুলো সবই ইতিবাচক। কিন্তু গাছপালা কেটে সাবাড় করে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে, বাতাস মারাত্মকভাবে দূষিত করে ওজোন স্তর হ্রাস করছেÑ এসবই নেতিবাচক। অর্থাৎ মানুষ নিজেদের হীন স্বার্থে সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবীকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে-এটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এটা নিম্নশ্রেণির ক্ষতিকর প্রাণির কাজ। এজন্যই মানুষকে উষ্ণ রক্তের প্রাণিদের মধ্যে অত্যন্ত নিম্নশ্রেণির বুদ্ধিমান প্রাণি বলা হয়েছে।

১৪. গাছপালা নেওয়ারও প্রয়োজন নেই- কেন কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘গাছপালা নেওয়ার প্রয়োজন নেই’- কথাটা যুক্তিযুক্ত বিজ্ঞানসম্মত। মহাজাগতিক কিউরেটররা পৃথিবী থেকে বুদ্ধিমান সচল প্রাণির নমুনা নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছে। তারা অচল বা জড় কেনো প্রাণি এখান থেকে নেবে না। পৃথিবীর গাছপালা যথেষ্ট উপকারী সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা এক জায়গায় স্থির থাকে, চলাফেরা করতে পারে না অর্থাৎ গতিশীল নয়। আর চলাফেরা করতে না পারলে কিউরেটররা তাকে বুদ্ধিমান বলে মনে করে না।

গাছপালা নীরবে প্রকৃতিকে নানা দিক থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সেবা করে যায়, বিনিময়ে কিছুই চায় না। ত্যাগ সেবার দিক থেকে তারা মহান। কিন্তু কিউরেটররা এসব বুঝেও শুধু চলাফেরা করতে পারে না তাই বলেছে- গাছপালা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

১৫. পৃথিবী একসময় এরাই নিয়ন্ত্রণ করবে- কথাটা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : ‘পৃথিবী একসময় এরাই নিয়ন্ত্রণ করবে’- মন্তব্য করেছে দ্বিতীয় কিউরেটর। কেননা পিঁপড়াকেই তারা সুবিবেচক বুদ্ধিমান প্রাণি মনে করেছে। পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বুদ্ধি-বিবেচনা, শক্তি-সামর্থ্য, শৃঙ্খলা, ঐক্য, উৎপাদনশীলতা সৃজনশীলতা এবং শুভ কল্যাণবোধ থাকা অত্যাবশ্যক। শুধু পৃথিবী থেকে গ্রহণ করলেই হবে না, পৃথিবীর সবকিছু টিকিয়ে রাখার জন্য ত্যাগ স্বীকারও করতে হবে।

প্রকৃতির জগতের ভারসাম্য রক্ষার জন্য যা কিছু করা দরকার, সেসব কৌশল উদ্ভাবন তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পিঁপড়ার সেসব গুণাবলি আছে বলেই ধারণা কিউরেটরদের। মানুষ নিজেদের ধ্বংস করার পরও পিঁপড়া বেঁচে থাকবে এবং তারাই ভবিষ্যতে পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করবে।

১৬. এদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আমি খুব নিশ্চিত নই- কথাটা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : ‘এদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আমি খুব নিশ্চিত নইপ্রথম কিউরেটর পাখির বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ধরনের মন্তব্য করেছে। প্রথম কিউরেটরের পাখি খুব পছন্দ হয়েছে কেননা এরা দেখতে সুন্দর, নানা আকারের, নানা বর্ণের। এদের দুটো পখা আছে এবং পাখা মেলে এরা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারে, আকাশে উড়তে পারে।

দ্বিতীয় কিউরেটরেরও পাখি পছন্দ হয়েছে এবং এই প্রাণিটি নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু প্রথম কিউরেটর এদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। কেননা এদের বুদ্ধিমত্তার কোনো প্রমাণ তাদের নজরে আসেনি। তাই প্রথম কিউরেটর খোলামেলা বলেছে-‘এদের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আমি খুবই নিশ্চিত নই।

No comments

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.