এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞান প্রথমপত্র টিউটোরিয়াল -০১

ষষ্ঠ অধ্যায় : ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা
মৌলিক আলোচনা ও নমুনা উদ্দীপক
ক্রিপ্টোগ্যামিয়া উপজগতের বিশাল অংশজুড়ে ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা উদ্ভিদ প্রজাতির অবস্থান। এদের কখনও ফুল হয় না। তাই এদের অপর নাম অপুষ্পক উদ্ভিদ। রেণু বা স্পোর দ্বারা এদের বংশ বৃদ্ধি ঘটে। স্যাঁতসেঁতে জায়গায়, পুরনো দালানের প্রাচীরে, ছায়াযুক্ত বা অর্ধ ছায়াযুক্ত স্থানে এদের বেশিরভাগ জন্মাতে দেখা যায়। এদের অনেক উদ্ভিদ কার্পেটের মতো মোলায়েম অবস্থায় বিস্তৃত থাকে, আবার অনেক উদ্ভিদ ঢেঁকিশাক হিসেবে পরিচিত।
১. ব্রায়োফাইটা বা মসবর্গ : এই বর্গের কিছু উদ্ভিদকে নরম কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় এবং কিছু উদ্ভিদ থ্যালয়েড জাতীয়। এদের দেহে মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড থাকে। এদের কোনো পরিবহন তন্ত্র নেই। এদের জীবনচক্রে বহুকোষী ভ্রূণ উৎপন্ন হয় এবং জননাঙ্গ বন্ধ্যা কোষ প্রাচীর দ্বারা আবৃত থাকে। যেমন :
Riccia, Marchancia, Anthoceros ইত্যাদি। এদের প্রায় ২৪,০০০ প্রজাতি রয়েছে।
২. টেরিডোফাইটা : ফার্নবর্গীয় উদ্ভিদকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায়। এদের পরিবহনতন্ত্র আছে।
এ বর্গের জীবনচক্রে বহু কোষী ভ্রূণ উৎপন্ন হয় এবং জননাঙ্গ বন্ধ্যা কোষস্তর দ্বারা আবৃত।
যেমন :- Selaginalla, Pteris, Marselia ইত্যাদি। এদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
একটা বিষয় মনে রাখবে উদ্দীপক কীভাবে হল বড় কথা নয়। মূল কথা হল তোমরা উল্লিখিত বিষয়টি পরিষ্কারভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারছ কিনা। বিষয় এর মৌলিক জ্ঞান ও সম্পর্কিত সংজ্ঞাগুলো ভালোভাবে মনে রাখলে সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দিতে সমস্যা হবে না।
এই অধ্যায়ে তোমাদের ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটার বৈশিষ্ট্য, Riccia, Pteris ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উদ্ভিদের গঠন, জনন ও প্রাসঙ্গিক বিষয় ভালো করে জানতে হবে।
নিম্নে একটি নমুনা উদ্দীপক দেয়া হল-
(ক) জনুক্রম কী? ১
(খ) কাকে সানফার্ন বলা হয় এবং কেন? ২
(গ) উদ্দীপকের চিত্রটির নাম ও A, B, C, D অংশগুলো চিহ্নিত কর। ৩
(ঘ) উদ্দীপকের চিত্রে যা দেখা যাচ্ছে তা কীভাবে সৃষ্টি হয় লিখ। ৪
উত্তর (ক)
কোনো উদ্ভিদের জীবনচক্রে ডিপ্লয়েড স্পোরোফাইটিক দশা ও হ্যাপ্লয়েড গ্যামিটোফাইটিক দশা পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হলে তাকে জনুক্রম বলে।
উত্তর (খ)
Pteris কে বলা হয় সান ফার্ন। এরা সাধারণত শীতল, ভেজা ও ছায়াযুক্ত স্থানে প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। কিন্তু চঃবৎরং একমাত্র ব্যতিক্রম যা রৌদ্রেও জন্মাতে পারে। সে জন্যই Pteris কে সান ফার্ন বলা হয়।
উত্তর (গ)
উত্তর (ঘ)
উদ্দীপকে Pteris এর নতুন স্পোরোফাইট দেখা যাচ্ছে। নিচে তার সৃষ্টি প্রক্রিয়া দেয়া হল: নতুন স্পোরোফাইট সৃষ্টি : চঃবৎরং-এর উওস্পোর বিভাজিত হয়ে একটি ভ্রূণে পরিণত হয়। ভ্রূণ বিকশিত হয়ে প্রথমে মূল, কাণ্ড ও প্রাথমিকপত্র সৃষ্টি করে। মূল মাটিতে প্রবেশ করার পর প্রোথ্যালাস শুকিয়ে যায়। পরে কাণ্ড ও প্রাথমিক পত্র বিকশিত হয়ে নতুন স্পোরোফাইট উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।

1 comment:

  1. This is really a very nice post. Thanks for sharing with us.
    Love

    You may also visit my blog and leave your sweet comment.
    ENGLISH FOR TODAY | Classes Eleven-Twelve

    ReplyDelete

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.