আহ্বান গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
Suggestions
আহ্বান গল্পে লেখক দুটি ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও আর্থিক অবস্থানে বেড়ে-ওঠা চরিত্রের মধ্যে সকীর্ণতা ও সংক্ষারমুক্ত মনোভঙ্গির প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : নিজের সন্তানটিকে হারিয়ে পাশের গ্রামের গৌতমকেই রহিমের মা আপন করে নেয়। যুদ্ধের রাতে যখন গৌতম এসে আশ্রয় চায় তখন বুড়ি সানন্দে তাকে আশ্রয় দেয়। ছেলেটির মুখের দিকে তাকালেও কেমন যেন মায়া হয়। আহা বেচারা কত কষ্টেই না আছে! যুদ্ধে পরিবারের সবাইকে হারিয়েছে সে। এক রাতে পাকিস্তানি বাহিনী রহিমের মার ঘরে এসে জিজ্ঞেস করে- ছেলেটি হিন্দু না মুসলিম? সে তখন বলে- ‘ও আমার ছেলে, সাচ্চা মুসলিম।’
ক. “ওমা আজই তুমি এলে” – উক্তিটি কার?
খ. “স্নেহের দান, এমন করা ঠিক হয়নি” কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটিতে “আহ্বান গল্পের কোন দিকটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়? বিশ্লেষণ করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকটিতে ‘আহ্বান’ গল্পের ভাবগত মিল থাকলেও সামগ্রিক প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হয়নি’_ ব্যাখ্যা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : মোবারক নিঃসন্তান দরিদ্র কৃষক। কোন এক শীতের সন্ধ্যায় কাজ শেষে ব্যস্তভাবে বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ বড় আমবাগানের ভেতর থেকে এক শিশুর কান্নার শব্দ তার কানে এল। সে একটু এগিয়ে দেখল, এক রুগ্ণ শিশু শুকনো পাতার ভেতর নড়ছে। শিশুটিকে মোবারক বাড়ি নিয়ে এল এবং স্ত্রী ফরিদাকে ডেকে বলল, ‘এই নাও, আমাদের শূন্য ঘরের আনন্দ।’ দুজনে মিলে শিশুটির নাম রাখল রহমত। শিশুটিকে মোবারক ও ফরিদা সন্তানস্নেহে লালন পালন করতে লাগল।
ক. “আহবান” গল্পে লেখক বুড়িকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন?
খ. “ওর স্নেহাতুর আত্মা বহুদূর থেকে আমায় আহ্বান করে এনেছে’ – এ উত্তির তাৎপর্য কী?
গ. উদ্দীপকের মোবারক দম্পতির মাধ্যমে ‘আহবান’ গল্পের কোন দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও “আহবান” গল্পের মূলবক্তব্য একই সূত্রে গাথা।” উক্তিটি মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : স্কুলে পড়া অবস্থায় ওদের দেখে সবাই বলত দুজনকে মানায় ভালো! ছেলেটি পড়াশোনা শেষে অনেক বড়ো একটি চাকরি নিয়ে গ্রামে ফিরে এল। সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান। চারদিকে তাকে নিয়ে কত হৈ চৈ। কাকতালীয়ভাবে মেয়েটিও শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে ছেলেটির দেখা পেল। পুরনো আবেগে দুজনেরই দেখাদেখি হলো। এতদিন পরও যেন তাদের আবেগের মৃত্যু হয়নি।
ক. ‘আহ্বান’ গল্পে বাংলা কোন মাসের উল্লেখ আছে?
খ. ‘সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো, ও বেঁচে থাকলে বলে উঠতো, অ মোর গোপাল’__ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের ঘটনার সঙ্গে ‘আহ্বান’ গল্পের কাহিনিতে মিল ও অমিল কোথায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “কাহিনিতে সামান্য পার্থক্য থাকলেও হৃদয়াগত আবেগে উদ্দীপক এবং ‘আহ্বান’ গল্পটি একই বন্ধনে আবদ্ধ”__ যুক্তিসহকারে ব্যাখ্যা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : নিঃসন্তান সৌদামিনী মালো দুর্ভিক্ষে মৃত এক মুসলমান কৃষক পরিবারের অসহায় শিশুপুত্রকে মাতৃস্নেহে বুকে তুলে নেয়। শিশুর নাম দেয় হরিদাস। বড় হয়ে হরিদাস যখন জানতে পারে সে মুসলমানের ছেলে তখন সে সৌদামিনীকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। হরিদাসকে হারিয়ে সৌদামিনীর মাতৃহৃদয় হাহাকার করে উঠে। ধর্ম, বর্ণ, অর্থ এসবকিছুর ঊর্ধে মাতৃত্ব।
ক. “আহবান” গল্পের বুড়িকে কে মা বলে ডাকে?
খ. “আমার মন হয়তো ওর ডাক এবার আর তাচ্ছিল্য করতে পারেনি” – ব্যাখ্যা করো।
গ. “সৌদামিনী মালো” গল্পটির সাথে “আহবান” গল্পের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের মূল বন্তব্য “আহবান” গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : আশালতা তার পুত্র অপুকে নিয়ে শত অভাবের মধ্যেও সুখে দিন যাপন করছিল। কিছু একদিন গাড়ি চাপায় অপু মারা যায়, তছনছ হয়ে যায় আশালতার সকল স্বপ্ন। সেই থেকে সে উন্মাদ পাগল। ছোট বাচ্চা দেখলেই সে অপু মনে করে জড়িয়ে ধরে। একদিন সজীব নামের এক পিতৃ-মাতৃধীন ছেলে আশালতাকে মা বলে ভাকে। আশালতা সজীবকে আকড়ে ধরেই বাঁচার স্বপ্ন দেখে।
ক. কে গল্পকথককে বুড়ির মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছিল?
খ. “ওর স্নেহাতুর আত্মা বহুদূর থেকে আমায় আহ্বান করে নিয়ে এসেছে’_ লাইনটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের আশালতার মধ্যে ‘আহ্বান’ গল্পের কোন চরিত্র ছায়াপাত লক্ষণীয়-_ বিশ্লেষণ করো।
ঘ. ‘প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও আশালতা ও বুড়ি মাতৃত্বের হাহাকারে ব্যথিত’__ মন্তব্যটির স্বপক্ষে তোমার যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : মন্বন্তরের সময় নিঃসন্তান হরিদাসী আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে ধানক্ষেতের পাশে পরিত্যক্ত একটি শিশু দেখতে পায়। পরম স্নেহে অসহায় শিশুকে সে কোলে তুলে নেয় এবং মাতৃত্বের মমতায় তাকে বড় করে তোলে। কিন্তু বাদ সাধে সমাজ । তাদের মতে হরিদাসীর কুড়িয়ে পাওয়া ছেলেটি মুসলমানের ছেলে। তাকে কাছে রাখলে ব্রাহ্মণ সমাজের অশুচি হবে। কিন্তু হরিদাসী এত কিছু ভাবতে চায় না। তার কাছে মাতৃত্বের দাবিই বড় বিষয়।
ক. বুড়িকে মা বলে ডাকে কে?
খ.. “চিনবে না। আমি অনেকদিন গায়ে আসিনি” – উক্তিটি কেন করা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের হরিদাসীর মধ্যে ‘আহ্বান’ গল্পের কোন চরিত্রের ছায়াপাত লক্ষণীয়, ব্যাখ্যা করো।
ঘ. প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও বুড়ি ও হরিদাসীর মধ্যে প্রাধান্যপেয়েছে মাতৃত্বের হাহাকার – উত্তিটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হিমেল। লেখাপড়ার ব্যস্ততায় তার গ্রামের বাড়িতে আসার খুব একটা সুযোগ হয় না। তবে ঈদের ছুটি, পূজার ছুটিতে যখন নিজ গ্রামে আসে, গরিব-দুঃখী মানুষের খোজ-খবর নেয়; সেবা-যত্র করে। নিজের নাস্তার খরচ, হাত-খরচ থেকে বাচানো টাকায় গ্রামের হতদরিদ্র অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য করে। এমনকী দুস্থদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে সে কাফনের কাপড় পর্যন্ত কিনে দেয়। গ্রামের সবাই তাকে পছন্দ করে এবং ভালোবাসে ।
ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
খ. বুড়ি কেন প্রায়ই লেখকের জন্য এটা-সেটা নিয়ে আসত?
গ. উদ্দীপকের হিমেলের সাথে ‘আহ্বান’ গল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “গ্রামের সবাই তাকে পছন্দ করে এবং ভালোবাসে”_ গোপালের ক্ষেত্রেও একথা সমভাবে প্রযোজ্য’__ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : সমাজপতিদের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সৌদামিনী প্রকাশ করতে বাধ্য হয় যে, তার পালিতপুত্র হরিদাস নমশূদ্র নয়, সে মুসলমানের উরসজাত। হরিদাসও নিশ্চিত হয় সৌদামিনী মালো তার মা নয়। আর এ কথা জেনেই সে নিরুদ্দিষ্ট হয়। ফলে অচিরেই তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে । সমাজের চাপে সৌদামিনীর মাতৃহ্দয়ের বলি ঘটে বটে, তবে তার হৃদয়ের হাহাকার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হতে থাকে। তার দীর্ঘশ্বাসে উচ্চকিত হয়__ মাতৃহূদয়ের কাছে ধর্ম, অর্থ সকলই তুচ্ছ। এভাবেই জয় হয় মানবিক সম্পর্কের |
ক. “আহ্বান” গল্পে লেখক বুড়িকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন?
খ. “ওর স্নেহাতুর আত্মা বহুদূর থেকে আমায় আহ্বান করে এনেছে।”_ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সৌদামিনী মালো “আহ্বান গল্পের কার সঙ্গে তুলনীয়? আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘আহ্বান’ গল্পে অপত্য স্নেহের নিকট সাম্প্রদায়িক চেতনা পরাজিত হয়েছে।”- আলোচনা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : মান্নানকে দেখে বুড়ির চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। ছেলে বসিরকে মনে পড়েছে তার। বসির বেঁচে থাকলে মান্নানের মতোই হতো । দশ বছর পূর্বে গ্রামে ভয়াবহ কলেরা হল; আর সেই অসুখেই বুড়ির স্বামী, ছেলে সবাইকে হারিয়ে এখন সে নিঃস্ব। পরের বাড়িতে থাকে। তার দেখাশোনা করার মতো কোনো নিকটাত্মীয় নেই। মানুষের দ্বারে দ্বারে চেয়ে চিন্তে খায়। গ্রামের লোকেরা বলে প্রিয়জনের শোকে বুড়ির মাথা খারাপ হয়েছে। কিন্তু মান্নানের সেটা মনে হয় না। মাল্লানের মনে হয় বুড়ির অন্তরটা স্নেহের সাগর; যাকে বিত্ত; সামাজিক মর্ধাদা- এসব কিছু দিয়ে যার পরিমাপ করা যায় না।
ক. লেখকের বাবার পুরাতন বন্ধুর নাম কী?
খ. “বুড়ি একটু ঘাবড়ে গেল” -কেন?
গ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথে ‘আহ্বান’ গল্পের রদ স্নেহপরায়ণতার তুলনা করো।
ঘ. “মাতৃস্নেহ অপরিমিত, এর কাছে আপনার পর ভেদাভেদ নেই – উক্তিটি উদ্দীপক ও “আহ্বান গল্পের অবলম্বনে মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : অবস্থাপন্ন মুসলিম পরিবারের গৃহকত্রী জোহরা বেগম। স্বামীর অবর্তমানে বিপুল সম্পত্তির দায়িত্ব তার ওপর এসে পড়ে। একমাত্র সন্তানের অকালমৃত্যু তাকে সর্বক্ষণ আচ্ছন্ন করে রাখে । উদার ও মানবিক জোহরা কখনো বিষয়-সম্পত্তি কুক্ষিগত করে রাখার আকর্ষণ অনুভব করে না। মাতৃত্বের শূন্যতায় তার অন্তরাত্মা সর্বদা হাহাকার করে। একই গ্রামের বিপ্লব রায়ের পরিবারের চার সদস্য সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করার পর দশ বছরের শিশু পুত্র অনিক অনাথ, অসহায় হয়ে পড়ে। নিঃসন্তান জোহরা বেগম সমাজ ও ধর্মের বিধি নিষেধ অগ্রাহ্য করে অনিকের দায়িত্ব সানন্দে গ্রহণ করে । সে দিনের অনাথ দিশেহারা অনিক আজ দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী, জোহরা বেগমের চোখের মণি।
ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত “ইছামতি’ কোন ধরনের রচনা?
খ. ‘স্নেহের দান-এমন করা ঠিক হয়নি’ – উত্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের জোহরা বেগম চরিত্রের সাথে আহ্বান গল্পের ‘বুড়ি’ চরিত্রের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য উপস্থাপন করো।
ঘ. “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকের উদার মানবিকবোধ ‘আহ্বান’ গল্পের অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সহাবস্থানকেই নির্দেশ করে ।”- ‘আহ্বান’ গল্পের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
No comments