আহবান গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র গাইড

ইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি

আহবান গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর

আহবান গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : বয়সের কারণে চোখের দৃষ্টি কমে আসায় বুড়ি গল্পকথককে চিনতে পারে না। অনেকদিন পর হঠাৎ গ্রামে এসে গল্পলেখক গ্রামের বাজারে যেতে আম গাছের ছায়ায় তারই গ্রামের এক বুড়ির সাথে সাক্ষাৎ হয়। বুড়িকে দেখে গল্পলেখক দাঁড়ালেও বুড়ির দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় এবং লেখক দীর্ঘদিন বাড়িতে না থাকায় তাকে চিনতে পারে না।

আহবান গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর

চক্রবর্তী মহাশয় গল্পলেখককে কেন চালাঘর তুলতে বললেন?
উত্তর : গ্রামের ছেলে গ্রামে বাস করবে-চক্রবর্তী মহাশয় এই অভিপ্রায়ে গল্পলেখককে চালাঘর তুলতে বললেন। গল্পলেখক ছিলেন চক্রবর্তী মহাশয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর একমাত্র ছেলে। বন্ধুটি মারা যাবার অনেকদিন পর তার একমাত্র ছেলেকে দেখে সে অত্যন্ত খুশি হয় এবং বন্ধুর ছেলেটিকে গ্রামে মাঝে-মধ্যে আসার জন্য বাবার ভিটায় অন্তত একটি চালাঘর তোলার পরামর্শ দেয়।

সেও তো গরিব লোক।-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: “আহ্বান” গল্পে গল্পকথক দারিদ্র্যপীড়িত এক অসহায় বৃদ্ধাকে আলোচ্য উক্তিটি করে। বুড়ি ভালোবেসে তার কথিত গোপালের জন্য তার পাতানো মেয়ের কাছ থেকে খাঁটি দুধ নিয়ে যায়। গোপাল দারিদ্র্যের কারণে বুড়িকে দুধের মূল্য দিতে গেলে বুড়ি ইতস্তত করে। গোপাল বোঝে বুড়ি অর্থের জন্য নয়হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার জন্যই তার জন্য দুধ নিয়ে আসে। তাই গোপাল বুড়িকে টাকা দিয়ে বলে সেও তো গরিব লোক। বুড়িকে বোঝাতেই গোপাল প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে।

বুড়ি গোপালের জন্য কেন দুধ নিয়ে এসেছিল?
উত্তর: গোপাল যে দুধ খেত তার মধ্যে ভেজাল থাকার কারণে বুড়ি গোপালের জন্য এক ঘটি দুধ নিয়ে এসেছিল। বুড়ি লেখক তথা গোপালকে বড় বেশি ভালোবাসতো। তাই সে গোপালের খোঁজ খবর নিতে আসতো। গোপাল ঘুঁটি গোয়ালিনীর ভেজাল দুধ খাচ্ছে শুনে বুড়ি ব্যথিত হয়েছিল। তাই পাতানো মেয়ের কাছ থেকে চেয়ে দুধ নিয়ে এসেছিল গোপালের জন্য।

বুড়ি ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখে ধরলেন কেন?
উত্তর: বুড়ি গল্পকথককে ভালোভাবে দেখতে ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখে ধরলেন। গল্পকথক বাজারে থাকার সময় আম গাছের ছায়ায় এক বৃদ্ধাকে দেখতে পায়। গল্পকথক বৃদ্ধার গ্রামেরই ছেলে। কিন্তু বৃদ্ধা তাকে ভালোভাবে চেনে না। কথোপকথনের এক পর্যায়ে বুড়ি নিজের ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখের ওপর ধরে গল্পকথককে চেনার চেষ্টা করে।

গল্পকথককে বুড়ি চিনতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বয়সের কারণে চোখের দৃষ্টি কমে আসায় বুড়ি গল্পকথককে চিনতে পারে না। অনেকদিন পর হঠাৎ গ্রামে এসে গল্পলেখক গ্রামের বাজারে যেতে আম গাছের ছায়ায় তারই গ্রামের এক বুড়ির সাথে সাক্ষাৎ হয়। বুড়িকে দেখে গল্পলেখক দাঁড়ালেও বুড়ির দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় এবং লেখক দীর্ঘদিন বাড়িতে না থাকায় তাকে চিনতে পারে না।

দুধ খেতে পাচ্ছ না ভালোসে বুঝেছি।-কথাটির ভাবার্থ লেখ।
উত্তর: বিভূতিভূষণের “আহ্বান” গল্পের বুড়ি দুধের বিশুদ্ধতা নিয়ে গল্পলেখককে  কথাটি বলেছে। গ্রামে থাকাবস্থায় গল্পলেখককে ঘুঁটি গোয়ালিনী দুধ দেয়। কিন্তু গোয়ালিনী সম্পর্কে গল্পকথক ভালোভাবে জানে না যেতার দুধে পানি মেশানো থাকে। গ্রামের বুড়ির সাথে গল্পকথকের বেশ ভাব হয়েছে। তাই বুড়ি দুধের ভেজালের কথা আলোচ্য বাক্যটির মাধ্যমে লেখককে বুঝিয়েছেন।

হাজরার বউ বুড়িকে খেতে দেয় কেন?
উত্তর: হাজরার বউ আন্তরিকতার জন্য বুড়িকে খেতে দেয়। হাজরার বই ছা-পোষা একজন নারী। সে বুড়িকে ভালোবেসে মা ডেকেছে। তাই উদার মানবিকতার জন্যই সে তার সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের দুমুঠো চাল বুড়ির সাথে একসঙ্গে রান্না করে খায়। এতে হাজরার উদার দৃষ্টিভঙ্গিরই পরিচয় মেলে।

ওই যারে মেয়ে বলি বড় ভাল কথাটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: হাজরার বৌ-এর প্রতি বুড়ির কৃতজ্ঞতাবোধের পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে এখানে। বুড়ির আপনজন বলতে এই পৃথিবীতে তার এক নাতজামাই ছাড়া কেউ নেই। কিন্তু সেই নাতজামাই বুড়িকে দেখে না। পাতানো এক মেয়ে কষ্ট হলেও তাকে ভরণপোষণ দেয়। তাই গল্পকথক যখন বলে খাওয়া-দাওয়া কোথায় হয়তখন বুড়ি হাজরার বৌ-এর কথা বলে তার কৃতজ্ঞতাবোধ স্বীকার করে।

বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অনেক প্রতীক্ষার পর গোপাল অসুস্থ বুড়িকে দেখতে আসে বলে বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। বুড়ি গোপালকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। তাই তার বিশ্বাস তার এই দুর্দিনে তার øেহের গোপাল হৃদয়ে টানে তার কাছে আসবেই। বুড়ির টানেই শেষ পর্যন্ত গল্পকথক বুড়িকে দেখতে যায়। তাইতো আনন্দে বুড়ির চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।

১০গল্পকথকের গ্রাম ছাড়ার পর বুড়িকে স্মরণ না থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গ্রাম থেকে ফিরে গল্পকথক আবারও কলকাতায় গিয়ে নিজ কাজে ব্যস্ত থাকায় বুড়িকে ভুলে যান। গল্পকথক গ্রামে আসার পর বুড়ি যেভাবে তাকে ভালোবেসে আপন করে কাছে টেনেছেসেভাবে গল্পকথক বুড়িকে আপন ভাবতে পারেনি। তবে বুড়ির প্রতি তার যে মায়া-মমতা ছিল না তা কিন্তু নয়। কর্মব্যস্ততার কারণেই বুড়িকে তার স্মরণে আসেনি।

১১গল্পকথক বুড়িকে পকেট থেকে পয়সা বের করে দিলেন কেন?
উত্তর: বুড়ির অভাব-অভিযোগ আর কষ্টের কথা শুনে গল্পকথক বুড়িকে পকেট থেকে পয়সা বের করে দিলেন। স্বামী বেঁচে থাকতে বুড়ির কোনো অভাব না থাকলেও বর্তমানে বুড়ির এক নাতজামাই থাকা সত্ত্বেও তার খাবারের কষ্ট। বয়সের ভারে কাজ করার সামর্থ্য নেই। বুড়ির এই কষ্টের কথা শুনে গল্পলেখক নিজ পকেট থেকে মানবতার খাতিরে পয়সা বের করে দিলেন।

১২স্নেহের দান এমন করা ঠিক হয়নি-কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : লেখক খাঁটি দুধ খেতে পায় না শুনে বৃদ্ধা তাঁর জন্য দুধ নিয়ে এলে লেখক তাকে রূঢ় স্বরে দুধের দাম জিজ্ঞাসা করে টাকা দিলে বুড়ি বিব্রত হয়ে টাকা নিয়ে চলে যায়। তখন অনুশোচনায় লেখক উক্ত উক্তিটি করেন।

বুড়ি জানতে পারেন যেঘুঁটি গোয়ালিনীর জল মেশানো দুধ লেখক খান। তখন সন্তান স্নেহে লেখকের জন্য বুড়ি এক ঘটি দুধ হাজরা ব্যাটার বৌয়ের কাছ থেকে চেয়ে আনেন। লেখক তার দাম দিয়ে দিলে বুড়ি মনঃক্ষুণœ হয়ে চলে যান। লেখক তখন ভাবেন স্নেহের দানের আর্থিক প্রতিদান দেয়া ঠিক হয়নি। এটা ভেবে লেখক উক্ত উক্তিটি করেন।

১৩বুড়ি কেন দমে গেলেন?
উত্তর : লেখক রুক্ষ স্বরে দুধের দাম জিজ্ঞাসা করায় বুড়ি প্রথমে খুব দমে গেলেন। লেখকের দুধের জোগান দেয় ঘুঁটি গোয়ালিনী। একথা শুনে বুড়ি বলেন ‘এর তো অর্ধেক জল এজন্য তিনি তাঁর পাতানো মেয়ের কাছ থেকে খাঁটি দুধ চেয়ে লেখকের জন্য নিয়ে আসেন। তখন লেখক বুড়িকে দাম দিয়ে তাড়াতাড়ি বিদায় করার জন্য বেশ রুক্ষ স্বরে তার দাম জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু স্নেহের দানের আর্থিক প্রতিদান দিতে গেলে বুড়ি অপ্রস্তুত হন এবং লেখকের রুক্ষ স্বরে তিনি দমে যান।

১৪বুড়ির আগে  পাড়া  পাড়া আসা-যাওয়া করতে হতো না কেন?
উত্তর : বৃদ্ধার স্বামী বেঁচে থাকতে তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ সচ্ছল ছিল তাই ভিক্ষা করার জন্য তাঁর এপাড়া ওপাড়া যাতায়াত করতে হতো না। বৃদ্ধার স্বামী জমির করাতির বেশ সচ্ছল অবস্থা ছিল। গোলাভরা ধান। আর গোয়ালভরা গরু নিয়ে ছিল বুড়ির সোনার সংসার। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর সংসারের দায়িত্ব নেয়ার মতো কেউ ছিল নাতাই তিনি এখন পথের ভিখারিনি। এজন্য তাঁকে এপাড়া ওপাড়া করতে হয়যা স্বামী বেঁচে থাকতে করতে হতো না।

১৫লেখক বুড়িকে কেন পয়সা দিলেন?
উত্তর : বৃদ্ধার কষ্ট  অসহায়ত্ব দেখে লেখকের মায়া হওয়ায় তিনি পয়সা দিলেন। গ্রামে ফিরে একদিন লেখকের সাথে এক বৃদ্ধার দেখা হয়। তিনি তখন বাজারে চলছিলেন তিন পয়সার লবণ কিনতে। তখন বৃদ্ধার মুখে তার অসহায়ত্ব  দারিদ্র্যের কথা শুনে লেখকের মায়া হয়। তখন তিনি পকেট থেকে কিছু পয়সা বের করে বৃদ্ধাকে দেন।

১৬দুধ খেতি পাচ্ছ না ভালো সে বুঝেচি-কেকেন কথাটি বলেছেন?
উত্তর : ঘুঁটি গোয়ালিনী লেখককে দুধের জোগান দেয় শুনতে পেয়ে বুড়ি কথাটি বলেছেন। বুড়ি লেখককে জিজ্ঞাসা করেন কোথায় তার খাওয়া-দাওয়া হয়। লেখক বলেনতার জ্ঞাতি খুড়োর বাড়ি। তখন বুড়ি জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন যেঘুঁটি গোয়ালিনীর কাছ থেকে দুধ রাখা হয়। তখন বুড়ি বলেনওর দুধঅর্ধেক জল। তাই বুড়ি উক্ত কথাটি বলেন।

১৭-গোপাল আমার সম্বোধনটি লেখকের কেন ভালো লাগল?
উত্তর : উক্ত সম্বোধনের মধ্যে মা-পিসিমার স্নেহের সম্বোধন প্রকাশ পাওয়ায় লেখকের ভালো লাগল। গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে লেখক গ্রামের এক বুড়ির সাথে পরিচিত হওয়ার পর লেখক তাকে কিছু টাকা দেন। পরদিন সকালে বুড়ি লেখকের খোঁজে আসেন। তখন বুড়ি লেখককে ‘গোপাল’ বলে সম্বোধন করে। লেখক প্রথমে অবাক হলেও পরে তাঁর ভালো লাগে। কারণ উক্ত সম্বোধনের মধ্যে তিনি অনুভব করেছিলেন মা-পিসিমার স্নেহের পরশ।

১৮নারী রূপের অপূর্ব পরিণতি বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর : উক্ত বাক্যটি দ্বারা লেখক শ্রদ্ধার সাথে নারীর মাতৃরূপের প্রশস্তি গেয়েছেন। কালের পরিক্রমায় মানুষের সবকিছু একটি পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।  রকম নারী রূপেরও ক্রমশ পরিণতি পায়। মাবোনস্ত্রীসবাইকে এক সময় সময়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়। সেখানে তারা পূর্ণতার স্বাদ অনুভব করে। তাদের সেই পরিণতি অবস্থায় দেখলে আবহমান মাতৃরূপ বারবার মনে পড়ে। এমন ভাবেই প্রকাশ ঘটেছে উক্ত বাক্যে।

১৯দ্যাও বাবা-তুমি দ্যাও-কেকেন  কথা বলেছে?
উত্তর : শুকুর মিঞা বৃদ্ধার কবরে মাটি দেয়ার প্রসঙ্গে কথাটি বলেছে। প্রাচীন একটা গাছের নিচে বৃদ্ধাকে কবর দেওয়া হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত হয়েছেন লেখক বৃদ্ধার অনিবার্য আহ্বানে। সেখানে শুকুর মিঞাসহ আরও অনেকে উপস্থিত। একে একে সবার মাটি দেওয়া হলে শুকুর মিঞা বললেনএই যে বাবাএসো। তোমায় যে বড্ড ভালোবাসত বুড়ি। দ্যাও বাবা-তুমি দ্যাও। লেখক দিলেন এক কোদাল মাটি। এতে তিনি অনুভব করলেনবৃদ্ধা বেঁচে থাকলে বলে উতো--মোর গোপাল।

২০ বুড়ি কেন আহ্লাদে আটখানা হলেন?
উত্তর : বুড়ির অনুরোধে লেখক অসুস্থ বুড়িকে তার বাড়িতে দেখতে গেলে বুড়ি আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেলেন।
বুড়ির পাতানো মেয়ের কাছে লেখক শুনলেন বুড়ি অসুস্থ। তখন লেখক একদিন বিকেলে গেলেন বুড়িকে দেখতে। গিয়ে দেখেন বুড়ি শুয়ে আছে মাদুরের উপর। তিনি কাছে দাঁড়াতেই বুড়ি চোখ মেলে চাইলেন। পরে লেখককে চিনে ধড়ফড় করে বিছানা ছেড়ে উটে আহ্লাদে আটখানা হয়ে বলল, ‘ভালো আছ  মোর গোপাল?’

২১ আজ্ঞে সামান্য মাইনে পাই’Ñলেখকের এই বক্তব্যে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : প্রশ্নোক্ত বক্তব্যে লেখকের আর্থিক দীনতা প্রকাশিত হয়েছে। অনেকদিন পরে লেখক গ্রামে এসেছেন পৈতৃক ভিটায়। এসে দেখেন ঘরবাড়ি যা ছিল ভেঙেচুড়ে ভিটিতে জঙ্গল গজিয়েছে। তাঁর সাথে দেখা হয় বাবার পুরাতন বন্ধু চক্কোত্তি মশায়ের। তিনি লেখককে দেখে খুশি হলেন এবং বললেন কতদিন পর গ্রামে আসলে এখন বাড়িঘর কর। জবাবে লেখক উক্ত উক্তিটি করেন। যাতে তাঁর আর্থিক দৈন্যকে প্রকাশ করে।

২২ বুড়ি লেখককে বসার জন্য কেন খেজুরের চটখানা পেতে দিতে বললেন?
উত্তর : বৃদ্ধার গোপাল লেখক আসবে বলে বৃদ্ধা নিজের হাতে খেজুরের চাটাই বুনেছিলেন লেখকের বসতে দেয়ার জন্য।
বৃদ্ধার অসুস্থতার খবর শুনে লেখক গেলেন তাকে দেখতে। গিয়ে দেখলেন বুড়ি শুয়ে আছে একটা মাদুরের উপর। বুড়ি লেখককে চিনতে পেরে আহ্লাদে আটখানা হয়ে তার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলেন।

বুড়ি বলেনভালো আছ -মোর গোপাল। বসতে দে গোপালকে বসতে দে। গোপালেরে  খাজুরের চটখানা পেতে দে। বুড়ি অনুরোধের সুরে লেখককে বলেনতোর জন্যি খাজুরের চাটাই বুনে রেখেছিলাম। ওখানা পুরনো হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। তুই একদিনও এলি না গোপাল?’ এখানে লেখকের প্রতি বৃদ্ধার মাতৃস্নেহের প্রকাশ ঘটেছে।

No comments

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.