নেকলেস গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর HSC Bangla 1st Paper Guide

নেকলেস গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর HSC Bangla 1st Paper Guide

নেকলেস গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর : প্যালেস রয়েল থেকে কেনা হরটির দাম ছিল ছত্রিশ হাজার ফ্রাঁ। বাবার মৃত্যুর পর প্রাপ্ত আঠারো হাজার ফ্রাঁ আর বাকি টাকা ধার করে লোইসেল হারটি কেনেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হারানো হারটি পেলে ক্রয়কৃত হারটি ফেরত দিয়ে তাঁরা চৌত্রিশ হাজার ফ্রাঁ ফেরত পেতে পারতো।

নেকলেস গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

. অতিরিক্ত পরিশ্রম মাদাম লোইসেলের শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে?
উত্তর : অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে মাদাম লোইসেলকে বয়স্কা মনে হতো। মাদাম লোইসেল গরিব দুঃস্থ ঘরের শক্ত, কর্মঠ অমার্জিত মেয়ের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর চুল অবিন্যস্ত ঘাঘড়া একপাশে মোচড়ানো থাকতো। দশ বছর পর মাদাম ফোরস্টিয়ারের সঙ্গে তাঁর দেখা হলে ফোরস্টিয়ার তাকে চিনতেই পারেননি।

. মাদাম লোইসেল দুর্দশার জন্য ফোরস্টিয়ারকে দায়ী করলেন কেন?
উত্তর : ফোরস্টিয়ারের কাছ থেকে ধার নেয়া হারটি হারিয়েই মাদাম লোইসেল দুর্দশায় পড়েন। তাই তিনি ফোরস্টিয়ারকে দুর্দশার জন্য দায়ী করেছিলেন। মাদাম লোইসেল বল নাচের অনুষ্ঠানে যাবার জন্য ফোরস্টিয়ারের কাছ থেকে একটি হীরার হার ধার নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে তিনি হারটি হারিয়ে ফেলেন। হারটির মূল্য পরিশোধ করতে তিনি দাসীকে বিদায় করে দিয়েছিলেন এবং বাসা পরিবর্তন করে নিচু ছাদের কামরা ভাড়া নিয়ে ছিলেন।

. মাদাম লোইসেলকে ফুল দিয়ে সাজতে বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : লোইসেলের কাছে মণিমুক্তা বা দামি পাথর কিনে দেয়ার টাকা ছিল না বলে তিনি মাদাম লোইসেলকে ফুল দিয়ে সাজতে বলেছিলেন। লোইসেল ছিলেন শিক্ষা পরিষদ অফিসের সামান্য কেরানি। তাঁর পক্ষে মাদাম লোইসেলকে দামি অলঙ্কার কিনে দেয়া সম্ভব ছিল না। তাই বল-নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য মাদাম লোইসেলকে তিনি ফুল দিয়ে সাজতে বলেছিলেন।

. মাদাম লোইসেলের কী জন্য জন্ম হয়েছে বলে তিনি মনে করতেন?
উত্তর : মাদাম লোইসেলের ধারণা বিলাসী জীবনযাপন মণিমুক্তার আতিশয্যের জন্যই তাঁর জন্ম হয়েছিল। সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম হয়েছিল। অলঙ্কারের প্রতি তাঁর মোহ ছিল। কিন্তু তাঁর কাছে দামি ফ্রক বা জড়োয়া গহনা বলতে কিছুই ছিল না। অথচ সে সব ছিল তাঁর প্রিয় বস্তু। তিনি কল্পনায় সে গুলোর ছবি আঁকতেন।

. লোইসেল দম্পতি নদীর দিকে হাঁটছিলেন কেন?
উত্তর : বাড়ি যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে লোইসেল দম্পতি বিন নদীর দিকে হাঁটছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ করে রাস্তায় পৌঁছে তাঁরা কোনো গাড়ি পেলেন না। রাস্তায় অনেক দূর খোঁজ করেও কোনো সুফল হয়নি। হতাশ হয়ে কাঁপতে কাঁপতে তাঁরা বিন নদীর দিকে হাঁটতে থাকেন।

. লোইসেলের মুখ ম্লান হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর : পোশাক কেনার জন্য মাদাম লোইসেল চারশত ফ্রাঁ চাওয়ায় লোইসেলের মুখ ম্লান হয়ে গিয়েছিল। বল-নাচে যোগ দেয়ার জন্য মাদাম লোইসেল নতুন পোশাক কিনতে চেয়েছিলেন। লোইসেল চারশত ফ্রাঁ সঞ্চয় করেছিলেন বন্দুক কেনার জন্য। মাদাম লোইসেলের পোশাক কিনলে তাঁর বন্দুক কেনা হবে না। লোইসেলের আশা ভঙ্গ হয়েছিল।

. প্যালেস রয়েলে হারটি লোইসেল চুক্তিতে কেনেন কেন?
উত্তর : হারানো হারটি ফেরত পেলে ক্রয়কৃত হারটি ফেরত দেয়ার উদ্দেশ্যে লোইসেল চুক্তিতে হারটি ক্রয় করেন। প্যালেস রয়েল থেকে কেনা হরটির দাম ছিল ছত্রিশ হাজার ফ্রাঁ। বাবার মৃত্যুর পর প্রাপ্ত আঠারো হাজার ফ্রাঁ আর বাকি টাকা ধার করে লোইসেল হারটি কেনেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হারানো হারটি পেলে ক্রয়কৃত হারটি ফেরত দিয়ে তাঁরা চৌত্রিশ হাজার ফ্রাঁ ফেরত পেতে পারতো।

. হীরার হারটি ধার পেয়ে মাদাম লোইসেল কেমন আবেগ দেখালেন?
উত্তর : হীরার হারটি ধার পেয়ে মাদাম লোইসেল সবেগে তাঁর বান্ধবীর গলা জড়িয়ে ধরলো। পরম আবেগে তাকে বুকে ধরলেন। মাদাম লোইসেলের অলঙ্কারের প্রতি মোহ ছিল। অর্থ সঙ্কটের কারণে তিনি তাঁর আশা পূর্ণ করতে পারছিলেন না। পরম আরাধ্য বস্তুকে হাতে পেয়ে তিনি তাঁর সবটুকু আবেগকে যেন প্রকাশ করেছিলেন।

. লোইসেলের নির্বাক হতবুদ্ধি হয়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মাদাম লোইসেলকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখে লোইসেল নির্বাক হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন। মাদাম লোইসেল থিয়েটার দেখতে যাওয়ার জন্য একটা পোশাক ব্যবহার করতেন। বল-নাচের অনুষ্ঠানে মাদাম লোইসেলকে লোইসেল সে পোশাক পরে যেতে বলেছিল। এতে মাদাম লোইসেরের দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে।

১০. মাদাম লোইসেল অসুখী ছিলেন কেন?
উত্তর : মাদাম লোইসেলের কল্পনার জগৎ বাস্তবতার জগৎ বৈসামাঞ্জস্যপূর্ণ ছিল বলে তিনি অসুখী ছিলেন। লোইসেলের উচ্চাকাক্সক্ষা তাকে অসুখী করে তুলেছিল। তিনি তাঁর ধনী বান্ধবীর সাথে নিজের তুলনা করতেন। ধনী বান্ধবীর সঙ্গে তিনি দেখা করতে চাইতেন না। তিনি নিজেকে গরিব মনে করতেন। অথচ তাঁর কল্পনার রাজ্যটি ছিল বিশাল।

১১. মাদাম লোইসেলের কল্পনার রাজ্যটি কেমন ছিল?
উত্তর : মাদাম লোইসেলের কল্পনার রাজ্যটি ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। তিনি কল্পনা করতেন তাঁর বৈঠকখানায় থাকবে রেশমি পর্দা, আসবাবপত্রগুলো থাকবে চমৎকার চিত্র শোভিত। ঘরে থাকবে আরাম কেদারা। সন্ধ্যাভোজনে অপূর্ব খাদ্য হিসেবে থাকবে গোলাপী রং এর রোহিত মাছ অথবা মুরগির পাখনা। বিকেলে বন্ধুদের সাথে গল্পগুজবের জন্য থাকবে আলাদা একটি কক্ষ। মোটাসোটা দুজন ভৃত্য থাকবে তাঁর বাড়িতে।

১২. হীরার হারটি দেখে মাদাম লোইসেলের অভিব্যক্তি কেমন ছিল?
উত্তর : হীরার হারটি দেখে অদম্য কামনায় মাদাম লোইসেলের বুক দুরু দুরু করে। হারটি তুলে নিতে গিয়ে তাঁর হাত কাঁপে। তিনি তাঁর পোশাকের উপর দিয়ে সেটা গলায় তুলে নেন। আনন্দে বিহ্বল হয়ে যান। তিনি তারপর উদ্বেগ ভরা কণ্ঠে মাদাম ফোরস্টিয়ারকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি খানা আমায় ধার দেবে? শুধু এটা?”

১৩. মাদাম লোইসেল আমন্ত্রণ-লিপিখানা টেবিলের উপর নিক্ষেপ করেন কেন?
উত্তর : শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মতো কোনো ভালো পোশাক বা জড়োয়া গহনা মাদাম লোইসেলের ছিল না বলে আমন্ত্রণ লিপিখানা টেবিলের উপর নিক্ষেপ করে।

১৪. সামান্য একটি বস্তুতে কী করে একজন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে আবার বাঁচতেও পারে।- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সামান্য একটি বিষয় মানুষের জীবনের উত্থান-পতনের কারণ হতে পারে। লোভ-লালসা, প্রভৃতি খারাপ রিপু দ্বারা তাড়িত হয়ে মানুষ নিজের ধ্বংসের পথ সুগম করে। এসব খারাপ পথ পরিহার করে সততা, ন্যায়, নিষ্ঠা, দৃঢ়তার সাথে অগ্রসর হলে মানুষের যেকোনো কাজে বিজয় সুনিশ্চিত। এজন্যই বলা হয়েছে যে, সামান্য একটি বস্তুতে একজন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে আবার বাঁচতেও পারে। কেননা, অন্যায়ের পথ মানুষের ধ্বংস সাধন করে আর ন্যায়ের পথ মানুষের উন্নতি ঘটায়।

১৫. মাদাম লোইসেল কেন তার ধনী বান্ধবীর সাথে দেখা করতে চাইত না?
উত্তর : মাদাম লোইসেল গরিব হওয়ায় তার ধনী বান্ধবীর সাথে সে দেখা করতে চাইতেন না। মাদাম লোইসেল ছিলেন উচ্চাকাক্সক্ষী মানসিকতার অধিকারী। কিন্তু তার ভালো জামা-কাপড় বা গহনা ছিল না। অথচ এগুলোই ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু। ধনী বান্ধবীর সাথে দেখা হলে তার সাথে নিজের তুলনা করলে মাদাম লোইসেলের কাছে নিজের গরিবি হাল আরও বেশি করে মূর্ত হয়ে উঠত। বান্ধবীর সাথে দেখা হওয়ার পর বিরক্তি, দুঃখ, হতাশা নৈরাশ্যে সমস্ত দিন ধরে তিনি কাঁদতেন। কারণেই মাদাম তার ধনী বান্ধবীর সাথে দেখা করতে চাইতেন না।

১৬. মাদাম ফোরস্টিয়ার কেন মাদাম লোইসেলকে চিনতে পারলেন না?
উত্তর : দশ বছর পর দেখা হওয়ার পর মাদাম লোইসেলকে খুব সাধারণ দেখাচ্ছিল বলে মাদাম ফোরস্টিয়ার তাকে চিনতে পারলেন না। মাদাম ফোরস্টিয়ারের হারিয়ে যাওয়া জড়োয়া গহনা ফেরত দিতে গিয়ে মাদাম লোইসেলকে ভয়াবহ দারিদ্র্য জীবনের মুখোমুখি হতে হয়। তাদের অবস্থা ঠিক হতে প্রায় দশ বছর লেগে যায়।

আর দিনগুলো মাদাম লোইসেল কোনো কাজের লোক ছাড়াই সংসারের সমস্ত কাজ করেছেন। গরিব গৃহস্থ ঘরের অমার্জিত মেয়ের মতো অপরিপাটি চালচলনে মাদাম লোইসেলকে অনেক বয়স্কা লাগে। দশ বছরে মাদাম লোইসেলের ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে মাদাম ফোরস্টিয়ার তাকে চিনতে পারেন নি।

১৭. জড়োয়া গহনা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা আমার করতে হবে। উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : “ জড়োয়া গহনা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে”Ñ মি. লোইসেল, তার স্ত্রীর হারটি হারিয়ে ফেলা প্রসঙ্গে কথাটি বলেছিল। বল-নাচের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বান্ধবীর জড়োয়া গহনা হারিয়ে ফেলে মাদাম লোইসেল। সমস্ত পথ খোঁজার পর না পেয়ে লোইসেল পুলিশের কাছে এবং গাড়ির অফিসে গিয়েছিল।

এছাড়াও পুরস্কার ঘোষণা করে একটা বিজ্ঞাপনও দিয়ে এসেছিল। এরপরও এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ায় কোনো সাড়া না পেয়ে সমস্ত আশা ত্যাগ করে লোইসেল বলেছিল যে, ওই জড়োয়া গহনা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।

১৮. হারটি হারিয়ে গেলে সেটি কেনার পর মাদাম লোইসেল তার স্বামী কীভাবে ঋণ পরিশোধ করেছিল?
উত্তর : হারটি হারিয়ে গেলে সেটি কেনার পর মাদাম লোইসেল তার স্বামী অনেক কষ্ট করে ঋণ পরিশোধ করেছিল।
পাওনাদারের ঋণ পরিশোধের জন্য তারা কম টাকায় একটা বাসা ভাড়া করেছিল এবং দাসীদেরকে বিদায় করে দিয়েছিল। সাধারণ পরিবারের মেয়েদের মতো সংসারের সমস্ত কাজ করতে লাগলো মাদাম লোইসেল। অপরদিকে মাদাম লোইসেলের স্বামীও অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য সন্ধ্যাবেলাতেও কাজ করতো। এভাবে দশ বছর অমানুষিক পরিশ্রম করে মাদাম লোইসেল তার স্বামী ঋণ পরিশোধ করেছিল।

১৯. মাদাম লোইসেলের মনে সর্বদা দুঃখ বিরাজ করতো কেন?
উত্তর : দরিদ্রের মতো জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে মাদাম লোইসেলের মনে সর্বদা দুঃখ বিরাজ করতো। মাদাম লোইসেল সুন্দরী তরুণী হওয়া সত্ত্বেও তার বিয়ে হয়েছে এক দরিদ্র কেরানির সাথে। ধারণা ছিল যতসব সুরুচিপূর্ণ বিলাসিতার বস্তু আছে সেগুলোর জন্যই তার জন্ম। নিজের উচ্চাকাক্সক্ষার ফল বাস্তবায়ন হচ্ছে না দেখে মাদাম লোইসেলের মনে সর্বদা দুঃখ বিরাজ করতো।

২০. দারিদ্র্যের মধ্যে দীর্ঘদিন দিনাতিপাত করায় মাদামের অবস্থা কেমন হয়েছিল?
উত্তর : দারিদ্র্যের মধ্যে দীর্ঘদিন দিনাতিপাত করায় মাদামের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়েছিল। বান্ধবীর জড়োয়া গহনা হারিয়ে ফেলার পর সেটা ফেরত দেয়ার জন্য মাদাম লোইসেল এবং তার স্বামী ঋণ নেয়। ঋণ পরিশোধের জন্য তার স্বামী সন্ধ্যাতেও কাজ করত আর মাদাম তার বাসার সব কাজের লোককে বিদায় দিয়ে সংসারের যাবতীয় কাজ নিজেই করা শুরু করে।

ময়লা কাপড়-চোপড় পরা আর অবিন্যস্ত চুলে তাকে বয়স্কা লাগে। কাজ করতে করতে তার হাতগুলো লাল, শক্ত, কর্মঠ অমার্জিত মেয়ের মতো হয়ে গেছে। দশ বছর দারিদ্র্যের মধ্যে দিনাতিপাত করায় মাদাম লোইসেলকে দেখে বিশ্বাস করা কঠিন যে তিনি এক সময় চমৎকার সুন্দরী ছিলেন।

২১. লোইসেল কেন তার সহপাঠিনীর সাথে দেখা করতে অনীহা প্রকাশ করত?
উত্তর : লোইসেলের সহপাঠিনী ধনী ছিল তাই সে দেখা করতে অনীহা প্রকাশ করত। পৃথিবীতে শ্রেণিভেদ রয়েছে। লোইসেল এক দরিদ্র কেরানি পরিবারে জন্ম নেয়। দরিদ্র পরিবারের জন্ম হলেও সে দারিদ্র্যকে মেনে নিতে পারেনি। ধনী সহপাঠিনীর সাথে দেখা করতে গেলে নিজের অবস্থান আরও বেশি প্রকাশ হয়ে পড়ত, আর তাই লোইসেল কনভেন্ট-এর সহপাঠিনীর সাথে দেখা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করত।

২২. লোইসেল কেরানির সঙ্গে বিবাহ স্বীকার করেছিল কেন?
উত্তর : কেরানির পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণে ধনী বা বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কোনো উপায় না থাকাতে কেরানির সঙ্গে বিবাহ স্বীকার করে নিয়েছিল।

নিয়তির কারণে মানুষের অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ থেকে যায়। লোইসেল সুন্দরী তরুণী হলেও কেরানি পরিবারে জন্ম নেয়াটা পরিচিত হওয়ার, প্রশংসা পাওয়ার, প্রেম লাভ বা ধনী লোকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কোনো উপায় ছিল না। তাই শিক্ষা পরিষদ অফিসের সামান্য এক কেরানির সঙ্গে বিবাহ সে স্বীকার করে নেয়।

২৩. লোইসেলের দুঃখ হতো কেন?
উত্তর : লোইসেল আশা করত সব ভালোকিছু সে পাবে, আর আশার সাথে যখন না পাওয়ার দ্বন্দ্ব হতো ব্যাপারটাই তখন তাকে দুঃখ দিত। চাওয়ার সাথে পাওয়ার ইচ্ছা মানুষের সহজাত। লোইসেল কেরানি পরিবারে জন্ম নিলেও তার বিলাসি জীবনের স্বপ্ন ছিল আর এসব যখন পূর্ণ হতো না, তখন লোইসেল দুঃখ পেত।

২৪. মঁসিয়ে লোইসেল নির্বাক হতবুদ্ধি হয়ে গেল কেন?
উত্তর : মঁসিয়ে লোইসেল স্ত্রীকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখে সে আতঙ্কে নির্বাক হতবুদ্ধি হয়ে গেল।
মসিঁয়ে লোইসেল আনন্দিত হয়ে জনশিক্ষামন্ত্রী মাদাম জর্জের কার্ডটি লোইসেলকে দিয়েছিল। ভেবেছিল এত বড় অনুষ্ঠানে যাওয়ার নিমন্ত্রণ কার্ড পেয়ে তার স্ত্রী খুব খুশি হবে। কিন্তু এর পরিবর্তে কার্ডটি পেয়ে সে তার স্ত্রীকে কাঁদতে দেখেছে। তাই সে নির্বাক হতবুদ্ধি হয়ে গেল।

No comments

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.