মাসি-পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

















Suggestions

মাসি-পিসি : সৃজনশীল প্রশ্ন 

জীবন-সংগ্রামী দুই নারী অত্যাচারী স্বামী, জোতদার, দারোগা খারাপ মানুষদের হাত থেকে অহ্লাদিকে রক্ষার জন্য যে ভূমিকা পালন করেছে সেই অসাধারণ কাহিনীই ফুটে উঠেছে "মাসি-পিসি" গল্পে।

সৃজনশীল প্রশ্ন : বাপ-মা মরা অভাগী মেয়ে প্রতিমা দরিদ্র কাকা-কাকির কাছে বড় হয়েছে। দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে অনেক কষ্টে ভাই-ঝিকে বিয়ে দেন কাকা। অভাগী প্রতিমা শ্বশুরবাড়িতেও সুখের নাগাল পায় না। কারণ, তার কাকার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য স্বামী- শাশুড়ি তার ওপর প্রতিনিয়ত শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালায়। এমনকি অন্তঃসত্তা জেনেও তার স্বামী একদিন মারধর করে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে। জ্ঞান ফিরে আসলে, প্রতিমা কোনোরকমে পালিয়ে কাকা- কাকীর কাছে চলে আসে। ভাইঝির এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাকা-কাকী সিদ্ধান্ত নেয়, অমন শ্বশুরবাড়িতে তাকে আর পাঠাবে না তারা।

. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত বছর বেঁচেছিলেন?
. “যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসিব্যাখ্যা করো।
. উদ্দীপকের প্রতিমার সাথেমাসি-পিসিগল্পের আহ্লাদীর সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো।
. “অর্থলিপ্সা মানুষকে পরিপূর্ণ পশু করে তোলে -উদ্দীপকে মাসি-পিসিগল্পে সত্যটি সন্দেহাতীতভাবে প্রকাশিত হয়েছেমন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন : বকুল যখন স্বামীহারা হয়, তখন তার মেয়ে পারুলের বয়স দুই বছর। একদিকে অর্থকষ্ট, অপরদিকে বদলোকের কুদৃষ্টি। লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে, খেয়ে না খেয়ে মেয়েটাকে বড় করে বকুল। একসময় মেয়ের বিয়েও দেয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই অত্যাচারী স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছেদ করে মায়ের কাছে ফিরে আসে পারুল। সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার জন্য মেয়ে পারুল হয় বকুলের অবলম্বন। মায়ের জীবন- সংগ্রাম দেখে বড় হওয়া পারুল মায়ের চেয়ে সাহসী এবং আত্মমর্যাদাশীল বাড়ির পাশে শাক-সবজি চাষ করে, ঘরে হাস-মুরগী পালন করে, ধান ভেনে, কীথা সেলাই করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে মা মেয়ে। যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জীবন বলি রাখার দৃঢ় প্রত্যয় বকুল পারুলের চাল চলনে।

. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
. “নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে’ – কার, কেন?
. উদ্দীপকের পারুলের সাথেমাসি-পিসিগল্পের আহ্লাদীর চারিত্রিক বৈপরীত্য দেখাও।
. উদ্দীপকটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেমাসি-পিসিগল্পের মন্তব্য ধারণ করে- তোমার মতামত দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন : স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মরিশাসে চাকরি করেন। একমাত্র মেয়ে আঁখিকে পড়াশোনার জন্য ঢাকায় মামার বাড়িতে রেখেছিলেন। বাড়িতে ছিল মামা-মামি মামাত ভাই তরিকুল গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর স্টেশনে ব্যাগের ভেতর আঁখির লাশ পাওয়া যায়। আঁখির নিখোঁজ হওয়ার পরে দাফন-কাফন সর্বত্র ছিল তরিকুলের পদচারণা ইতোমধ্যে তরিকুল গ্রেফতার হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জনাববন্দিতে বলেছে যে, সেদিন বাসায় আঁখির মামা-মামি ছিল না। জীখিকে একা পেয়ে সে পাশবিক নির্যাতন করে গলা টিপে হত্যা করে।

. সালতি কী?
. বুড়ো রহমান খড়ের আঁটি তুলে দেয়ার ফাকে ফাকে আহ্লাদির দিকে তাকায় কেন?
. “মাসি-পিসিগল্পের মাসি-পিসির দায়িত্ববোধের সাথে উদ্দীপকের মামা-মামির দায়িত্ববোধের তুলনা করো?
. “যুগের উন্নতি হলেও নারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তন হয়নি” – মন্তব্যটিমাসি-পিসিগল্প উদ্দীপকের আলোকে যাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন : যুবতী নবিতুনসারেং বৌউপন্যাসের নায়িকা। জীবিকার তাগিদে স্বামীকে দূর পথে বছরের অধিকাংশ সময় কাটাতে হয়। চারপাশের অশুভ ইঙ্গিত তাকে যখন তখন তাড়া করে বেড়ায়। আছে দারিদ্র্য দুর্যোগ আত্মবিশ্বাস, সাহস, বুদ্ধিমতা আর দৃঢ়তা দিয়ে সবকিছু জয় করে সে। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা আর সুন্দর জীবনের স্বপ্ন তাকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়।

. কে বাঘের মতো ছিল?
. “সোয়ামি নিতে চাইলে বৌকে আটকে রাখার আইন নেই’ – ব্যাখ্যা করো।
. উদ্দীপকের নবিতুনের সঙ্গেমাসি-পিসিগল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি বর্ণনা করো।
. “উদ্দীপকের নবিতুনমাসি-পিসিগল্পের আহ্লাদির বিপরীত” – উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন : স্বামী পরিত্যক্তা রানুকে স্নেহ-মমতা-সাহস দিয়ে আগলে রেখেছে তার খালা আনোয়ারা। আনোয়ারা বিধবা হলেও ছোটখাটো একটা ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে। তার স্পর্ধা দৃঢ়তা দেখে এলাকার কেউ রানুর দিকে চোখ তুলে তাকানোরও সাহস পায় না।

. কে সিঁথির সিঁদুর পর্যন্ত ঘোমটা টেনে দেয়?
. কেমন একটা স্বস্তি বোধ করে মাসি-পিসিকেনো?
. উদ্দীপকেমাসি-পিসিগল্পের কোন দিকটি উঠে এসেছে? আলোচনা করো।
. অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে সমাজে নারীর অবস্থান বদলে যায়’ – উদ্দীপক মাসি-পিসিগল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন : নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই মানবসভ্যতা আজ এতদূর প্রসারিত। নারীকে উপেক্ষা করে কোনো সভ্যতা সৃষ্টি হতে পারে না। নারীকে তার আপন মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে দরকার পুরুষের সহযোগিতা কিন্তু এই পুরুষের হীন মানসিকতার কারণেই কখনো কখনো নারীকে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত হতে হয়। বেছে নিতে হয় কঠিন জীবন, হতে হয় সাহসী প্রতিবাদী।

. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
. ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
. উদ্দীপকের হীন মানসিকতার পুরুষের সঙ্গেমাসি-পিসিগল্পের কার বা কাদের সাদৃশ্য রয়েছে? নির্ণয় করো।
. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটিমাসি-পিসিগল্পে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? আলোচনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন :
সে যুগ হয়েছে বাসি,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিল নাকো, নারীরা আছিল দাসী
বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যের যুগ আজি,
কেহ রহিবে না বন্দি কাহারও, উঠিছে ডঙ্কা বাজি।

. ‘মাসি-পিসিগল্পে কী গাছের ছায়ায় তিন-চারজন ঘুপটি মেরে আছে?
. “নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে” – ব্যাখ্যা করো।
. উদ্দীপকের সাথেমাসি-পিসিগল্পের চেতনাগত সাদৃশ্য তুলে ধরো।
. “উদ্দীপক মাসি-পিসিগল্পে অধিকার-আদায়ে নারীর সাহসী ভূমিকার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছেমন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন : মালিহা আর স্বামীর ঘরে যেতে চায় না। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তার বিয়ে হয়েছিল আমতলীর রাশেদের সাথে। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তার সকল স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। কারণ তার স্বামী ছিল অত্যন্ত বদমেজাজী, মদ জুয়ায় আসক্ত, যা সে জানতো না। কথায় কথায় সে তার গায়ে হাত তুলতো, ঠিকমতো খেতেও দিত না। অত্যাচারে, অনাহারে মালিহার শরীর ভেঙে যায়। সে আর থাকতে পারে না সেখানে ফিরে আসে বাবার বাড়ি, স্বামী তাকে বেশ কয়েকবার নিয়ে যাওয়ার জন্য এলেও সে যায়নি। তার বাবাও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেয়েকে আর শ্বশুরবাড়ি পাঠাবে না।

. মাসি-পিসি কীসের উপোস করছে?
. যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকেমাসি-পিসি” – ব্যাখ্যা করো।
. উদ্দীপকের রাশেদমাসি-পিসিগল্পের কোন চরিত্রের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ -ব্যাখ্যা করো।
. “মাসি-পিসিগল্পের আহ্লাদি উদ্দীপকের মালিহা যেন একই পরিস্থিতির শিকারবিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন : আব্দুল মালেকের কিশোরী মেয়েটা এবার বাপের বাড়ি এসে কিছুতেই শ্বশুরবাড়ি যেতে চাচ্ছে না। যৌতুকের টাকা না দিতে পেরে মেয়েটি শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। আবদুল মালেক ব্যাপারে মেয়ের ওপর জোর খাটানোর চেষ্টা করেন না। বরং প্রতিবাদী হয়ে উঠেন এবং নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

. ‘সোমত্তশব্দের অর্থ কী?
. কানাইয়ের লোকজন খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় কেন?
. উদ্দীপকের আব্দুল মালেকমাসি-পিসিগল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? বর্ণনা করো।
. উদ্দীপক মাসি-পিসিগল্পের চেতনা অভিন্নযাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : জেলেপাড়ার জীবন যেমন স্থবির ঠিক তেমনি স্থবির হাসুর মায়ের সংসার মাছ ধরতে গিয়ে তার স্বামী আর ফিরে আসেনি; তাও পার হয়ে গেছে চার চারটি বছর। বড়ো মেয়ে হাসু আর ছোটো মেয়ে রাসুকে নিয়ে কোনমতে তার দিন কাটে রাসুকে জমিদার বাড়িতে কাজে লাগিয়ে দিয়েছে ডুবন মাঝির মেয়ে ফুলি। হাসুকেও দিতে বলেছিল কিন্তু জমিদারের নায়েবের হাসুর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি হাসুর মায়ের চোখ এড়ায়নি। হাসু ঘরে বসেই ডালের বড়ি, আচার, তাল পাতার পাখা বানিয়ে মায়ের হাতে দেয় বাজারে বিক্রির জন্য প্রতিবেশীদের সহায়তায় দুই মেয়েকে নিয়ে এভাবেই কাটে হাসুর মায়ের জীবন।

. চায়ের দোকানে কৈলাশের সাথে কার দেখা হয়েছিল?
. নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগেকারণ ব্যাখ্যা করো।
. উদ্দীপকের সাথেমাসি-পিসিগল্পের সাদৃশ্য লেখো।
. দারিদ্র্যকে জয় করে নারীর অস্তিত্ব রক্ষার যে বাস্তব চিত্র উদ্দীপক মাসি-পিসিগল্পে উঠে এসেছেতা মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : স্বামীর মৃত্যুর পর রাহেলা বেগম নিজেই সংসারের ভার কাঁধে তুলে নেয়। অনেক কষ্ট করে বাজারে একটি মুদি দোকান দেয়। সেই দোকান থেকে অর্জিত টাকা দিয়ে সংসারের খরচ, মেয়ের পড়ালেখার খরচ মিটিয়ে কিছু টাকা সপ্চয়ও করেছে। কিন্তু ইদানীং রাহেলা বেগমের টাকা মেয়ের প্রতি নজর পড়েছে এলাকার ক্ষমতাবান ব্যক্তি সাজ্জাদের। সাজ্জাদ তার পোষা গুন্ডাদের হাত থেকে সম্পত্তি মেয়েকে রক্ষা করতে রাহেলা বেশ সচেতন সাহসী ঝামেলা হতে পারে ভেবে তাই রাহেলা বেগম আগে থেকেই থানায় সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ডায়েরি করে রাখে।

. আল্লাদির পরিবার কোন রোগে মারা যায়?
. বুড়ো রহমান ছলছল চোখে আহ্লদির দিকে তাকায় কেন?
. উদ্দীপকের সাজ্জাদমাসি-পিসিগল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, তা আলোচনা করো।
. “সংগ্রাম সাহসিকতায় রাহেলা মাসি-পিসিগল্পের মাসি পিসি একসূত্রে গাথা”- তোমার মতামত ব্যক্ত করো।

No comments

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.